অনলাইন ডেস্ক : অবৈধ বিয়ের মামলায় পাকিস্তানের একটি আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তারা সাজার আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের মাত্র পাঁচ দিন আগে আদালত এ আদেশ দিয়েছিলেন।
আদালত রায় দেন, ২০১৮ সালে আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা বুশরা বিবির সঙ্গে ইমরানের যে বিয়ে হয়েছিল, তা ছিল অনৈসলামিক এবং অবৈধ।
গত বছর বুশরা বিবির প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকা অবৈধ বিয়ের মামলাটি দায়ের করেন। তার অভিযোগ ছিল, বিচ্ছেদের পর ইসলামিক আইন অনুযায়ী তিন-মাসের যে বিরতি প্রয়োজন, সেই বিরতি বুশরা বিবি মানেননি। এর আগেই তিনি ইমরান খানকে বিয়ে করেন।
মানেকার দাবি, ২০১৭ সালের নভেম্বরে বুশরার সঙ্গে তার বিয়েবিচ্ছেদ হয়। আর ইমরান খান তার তৃতীয় বিয়ের ঘোষণা দেন ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কয়েক মাস আগে।
ইমরান-বুশরা দম্পতি তাদের দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে এবং আদালতের রায় স্থগিত চেয়ে একাধিক আপিল করেন।
ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া সাজার আদেশ বাতিল করার জন্য খান ও বিবির আরেকটি আরেকটি আবেদনের শুনানি ২ জুলাই থেকে শুরু হবে।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৈয়দ জুলফিকার বুখারি রায়ের দিনটিকে বিচার বিভাগের জন্য দুঃখজনক দিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জানুয়ারিতে তোশাখানা মামলায় ইমরান ও তার স্ত্রীর পৃথকভাবে ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে এপ্রিলে সেই সাজা কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রীয় তারবার্তা ফাঁসের অভিযোগে ইমরান খান এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। চলতি মাসের শুরুতে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সাজার আদেশ স্থগিত করেন।
তবে বেআইনি বিয়ের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে ইমরান খান কারাগারেই রয়ে গেছেন।