অনলাইন ডেস্ক :
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য ও নয়লাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ের মোড়লপাড়া গ্রামের এত্তাজ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম(৪৫)কে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একই সময় স্কুল শিক্ষক আব্দুল মতিনকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।
মতিন হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ফতেপুর গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল হান্নানের ছেলে। এ সময় তাদের বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মতিনের বড় ভাই মো.আব্দুস সালাম টিটু ও সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত এসতাম আলীর ছেলে আব্দুর রহিম বাদশা।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার রানিহাটি ডিগ্রী কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, রানীহাটি কলেজের সামনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে বসে ছিলেন আব্দুস সালামসহ তাঁর সঙ্গীরা। দুর্বৃত্তরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তদের ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুস সালাম। এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মতিন আলীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন। তিনি জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে অতর্কিত হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। মতিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, হামলার খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
এ ঘটনার পরে পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ জন মারা গেছে। আর একজন আহত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ঘটরার প্রতিবাদে নিহতের সমর্থকরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের রানীহাটি কলেজের সামনের রাস্তায় আগুন ও ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। এখন রাস্তার যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।