অনলাইন ডেস্ক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেছেন, বন্যায় এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত জেলার সংখ্যা ১৮টি, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ১৮ জেলায় ২১ হাজার ৭শ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ৬৫ হাজার ৫শ প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার, গো-খাদ্য বাবদ ৪০ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট-৩, সুনামগঞ্জ-১ ও মৌলভীবাজার-২ সংসদীয় আসনে ২৫০০ প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পানি এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী গত একনেক মিটিংয়ে সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমি বন্যা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, গতকাল শনিবার বন্ধের দিনেও আমরা অফিস খোলা রেখেছি এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেছি। এছাড়াও বন্যাদুর্গত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করে সেখানকার খোঁজখবর নিয়েছি। এর আগে সিলেট এলাকায় প্রথম দফা বন্যার সময় সেখানে পরিদর্শন করতে গিয়েছি।
বন্যাদুর্গত এলাকাসমূহে মানুষের প্রয়োজন এবং চাহিদা মোতাবেক আমরা তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বন্যাদুর্গত লোকদের আশ্রয়ের জন্য প্রায় তিন হাজার আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য ৬১৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। আজ আমরা আন্ত:মন্ত্রণালয় মিটিং করেছি। এখানে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় থেকে তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কীভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে, পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। আমরা ত্রাণ কার্যক্রম স্বচ্ছতার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছি। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একটি মানুষও দুর্ভোগের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করবে না। মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজন বিবেচনা করে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানো হবে।