মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বিনোদন জগতে নতুন উদ্যোগ সেই সাথে বেকারদের কর্মসংস্থান। সুস্থ বিনোদনে মানবিক বিকাশ এই ধারনা মাথায় নিয়ে পাশাপাশি বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে এবার বাগমারায় নির্মিত হচ্ছে ভাসমান রেস্তোরা ও বিনোদন পার্ক। ইতিমধ্যে এই ভাসমান রেস্তোরা ও বিনোদন পার্কের কাজ প্রায় আশি ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে এর চূড়ান্ত কাজ সম্পন্ন করে অচিরেই এর উদ্বোধন করবেন বাগমারার সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
ভাসমান এই রেস্তোরা ও বিনোদন পার্ক নির্মাণে দিনরাত কাজ করে চলেছেন প্রায় অর্ধশত শ্রমিক। তাদের পাশে থেকে সার্বিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়ে চলেছেন এই প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাগমারা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম মীর।
তিনি দৈনিক সানশাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জানান, বাগমারা একটি অবহেলিত ও পশ্চাদপদ এলাকা। এখানে বিনোদনের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। বিনোদন ও পর্যটনের জন্য দেশের বাইরে যাওয়া তো দূরের কথা বাংলাদেশের বিভিন্ন আকর্ষনীয় স্থান ঘুরে দেখার সামর্থ নেই এলাকাবাসীর। সেই সাথে আমাদের এলাকা একমাত্র কৃষি নির্ভর হওয়ায় এখানে বেকার সমস্যা প্রকট। তাই বিনোদন ও বেকারদের নতুন কর্মসংস্থান এ দুটো বিষয় গুরুত্ব দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে এই ভাসমান রেস্তোরা ও বিনোদন পার্ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এলাকার প্রায় ৪৫ জন বেকার যুবককে নতুন কর্মসংস্থান দেওয়া সম্ভব হবে।
এই ভাসমান রেস্তোরায় চাইনিজ, ফাস্টফুড ও দেশীয় বাংলা খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া থাকবে স্পিড বোটে ভ্রমন, শিশু কিশোরদের জন্য বিভিন্ন আকর্ষনীয় রাইডিং ও নদীর কূলে মুক্ত বাতাসে বিভিন্ন খেলা ধূলার ব্যবস্থা ও মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এগুলো সবই আমরা এলাকাবাসীর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করব। কোন আহামরি মূল্য নির্ধারন করা হবে না।
এখনই এই ভাসমান রেস্তোরা ও বিনোদন পার্কের নির্মাণের কাজ দেখতে দূরদুরান্ত লোকজন ছুটে আসছে। এটি পুরোদমে চালু হলে জমজমাট হয়ে ওঠবে এই এলাকা এমনটাই ধারনা করছেন এলাকাবাসী।
উদ্যোক্তাদের মতে, সাম্যের চূড়া এগ্রো ফার্ম লিঃ এর মাধ্যমে আরো কিছু নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব বাস্তবায়ন করা হবে। সব মিলিয়ে চলতি বছরেই দেড়শ থেকে দুইশ বেকারকে কর্মস্থানের টার্গেট রয়েছে তাদের।